অমূলদ

অভিষেক ঝা




বাকিটা এখন সে একটু একটু মেঘের মত দেখে। এটা একটা ধূ-ধূ সমভূমির দেশ । চোখের জরিপে আকাশ আর মাটির পরকীয়া হাবভাব ছাড়া আর কিছুই নেই যতটা জিরেত করতে পারে চোখ আর চোখের মন। মাটিরেখা এখানে গিরগিটি হয়ে আছে সেই তখন থেকে, যখন লাঙল-à¦¹à¦¿à¦‚à¦¸à§à °à¦¤à¦¾ এখানকার তীর-ধনুকের সহজিয়া হিসাবকে ক্ষেতে ঢুকে পড়া শজারুর মাংসের মত অতি সাবধানে ছাড়িয়ে, ভোজে মেতেছে গ্রাম কে গ্রাম ।ধানী মদের রাত শেষে একটা আধ-ভাঙা মুসুর ডালের মত সূর্য দিয়ে গা ডলতে ডলতে এ নদীর জলে এসে পড়ে তিনদিন আগের বৈকুন্ঠপুঠজঙ্গল--- হরিন, খটাশ, বুনা মোষের জিভ জিভ গন্ধ মেখে।জলের স্মৃতিতে থেকে যায় সেই বুনো তেষ্টা মিটাবার জৈবিক প্রেম। এ নদীপালিত মাটি এখানে গিরগিটি হয়ে থাকে বছরভর । গুয়া মেটে – সোঁদা খয়েরী – চিরকি সবুজ- চক্ষু সবুজ- কনে দেখা সোনালী – আগুন- খয়েরী মেটে – সোঁদা গুয়া – সবুজের চিরকি- চক্ষু সবুজ – কনে দেখা সোনালী – আগুন – গুয়া মেটে ...........................। রোদে ছায়া ফেলে যখন পাখি উড়ে যায় এসব কিছুর উপর দিয়ে অনেক অনেক বছর আগের কথা নাভি থেকে বুড়বুড়ি কেটে বুকে এসে থামে তার। চিনচিনায় খানিক। ঘড়ঘড় করে কফে পেন্ডুলাম চলে। দলা দলা কফ জিভে এসে যবের গন্ধে ভরিয়ে তুলে à¦®à§à¦–à¥¤à¦«à§‡à¦²à¦¤à§‡à “ অনীহা বড় এসব আঠাল গন্ধ। ঐ সময় চোখের দিকে তাকালে আকাশ আর মাটি ছাড়াও কিছু দেখতে চাওয়ার ইচ্ছা চোখে পড়ে যাদের চোখে মন থাকে। এ ইচ্ছা নিয়ে এখানে সেই কবে থেকে মরে যাওয়া পোলাপান, গ্যান্ডা,বৠà§œà¦¾ –বুড়ি, ডবকা- মদ্দ অঘ্রাণ মাসে পাতা হয়ে আসে হ্যালানো সব অশথ্ব গাছে। ঝুরঝুরে হয়ে বাতাস বইলে এখানে ইচ্ছাদের বারবার ফিরে আসা ঝুরে যাওয়াদের ফিসফিস শোনা যায়। ঘুম লেগে থাকা কানে তখন মরে যাওয়া সম্পর্কদেঠ° , আনন্দ সময়ের হৈ হৈ ভ্রম। কুউর শব্দ তুলে কান খইল করে বার করে দেয় এইসব বেঁচে ওঠা মরে à¦¯à¦¾à¦“à§Ÿà¦¾à¦—à§à¦²à§‹à •à§‡à¥¤ কিন্তু à¦à¦‡à¦¸à¦¬à¦•à¦¿à¦›à§à¦•à §‡ ছাপিয়ে আকাশ আর মাটির বাইরে আর কিছু দেখার ইচ্ছা রয়ে যায় এই সমস্ত ঘুমের প্রবল মাধ্যাকর্ঠণে। তাই ঘুম বুকে সেই কবে থেকে পড়েই চলে সেই সমস্ত ঘুম যে ঘুমে মন শুয়ে আছে।
একটা মাটির খ্রিষ্টান কবরখানার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দু-জন। প্রচুর মেঘ ভাসা এক বৃষ্টি হতে পারে হতে পারে হেমন্তের বিকেল। শীতের ভোরে সে অনেকদিন আগে এসেছিল এখানে।চুপঠŸà¦¿ করে তাকিয়েছিল সদ্য মাটি দেওয়া এক কবরের দিকে। দূরে একটা হ্যালানো পাকুড়। চুপ করে সবকিছু দেখছিল তারপাশে দাঁড়িয়ে থাকা নীলরঙা তার সাইকেল। অনেক বছর আগে, পাশের দোগাছির জঙ্গলে নাকি শজারু দেখা যেত, সে গল্প à¦¶à§à¦¨à§‡à¦›à§‡à¥¤à¦•à¦¬à ¦°à§‡ শুয়ে থাকতে থাকতে মানুষের কি কি ইচ্ছা হতে পারে পাশের জনকে সে জিজ্ঞাসা করেছিল। ভরা মেঘের দিকে তাকিয়ে আরেকজন বলেছিল, “আকাশ দেখা” । “ কবরের বাইরে যতদিন ছিল তখনও কি আকাশ দেখে দেখে শখ মেটেনি!! এখানে খালি ধূ- ধূ ক্ষেত আর আকাশ , ব্যাস” । আয়োডিনের মত একটা আলোয় ভরছিল চারপাশ। সে হাঁটছিল একটা জলার পাশ দিয়ে। খানিক পিছিয়ে আরেকজন। “ম্যাজিক করতে পারিস?”, “ কেমন চাস?” , “ জানি না”, “ কি ইচ্ছে করছে বল?”, “ চারপাশটা আমার অসহ্য লাগে” , ‌“ ভ্যানিশ করে দিব”, “ চল ভ্যানিশ হয়ে যাই” , “ এটা আমার ইচ্ছা, তুই কেন নিবি?”.........
দূরের রেখার মেঘগুলোকে তারা এসব সময় পাহাড় বলে ভুল করতে চায়। ঘুরাস পাহাড় ফেরত মেঘগুলোরও এসময় ইচ্ছে করে খানিক পাহাড় হয়ে মাটিতে নেমে আসার। আর এইসব সময় হ্যালনো গাছে পাতাদের ফিসফিসানি শুরু হয়। জায়মান এক পাহাড়ের গায়ে বাড়ি বোনা শুরু হয়। খালি হা হা করে পড়ে থাকা সমতলের বিস্তার আর মেঘোয়ালি এক আকাশ এসব সময় সত্যি সত্যি মিশে যায়।